কুয়ালালামপুর থেকে: মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম বলেছেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদেরকেও এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার খুলে যাওয়াসহ অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার বিষয়সহ দেশটির সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্কের নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়েছে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে এখানে শহীদ মিনার স্থাপনের প্রক্রিয়াও এগিয়ে চলেছে।
মালয়েশিয়ায় শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিটে অংশ নেওয়া গণমাধ্যম তারকা, প্রবাসী পেশাজীবী বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কমিউনিটি নেতাদের সম্মানে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) হাইকমিশনারের বাসভবনে আয়োজিত এক নৈশভোজ সভায় তিনি একথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের সামনে তথ্য রয়েছে। একে সমাজের উপকারে ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, আজ যারা এখানে নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন, তাদেরকে আমাদের কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করে যাচ্ছেন।
নৈশভোজে বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, বিদেশে যারা থাকেন তারা বিদেশে থাকলেও তাদের মন পড়ে থাকে বাংলাদেশে। তারা কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে আমাদের সমৃদ্ধ করেন। তাই সমাজ ও দেশের উন্নয়নে তাদের আন্তরিক উদ্যোগ বিফলে যাবেনা।
অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন-আয়েবা’র কাজের জন্য তিনি প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানান।
আয়েবা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ড. জয়নুল আবেদীন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আয়েবা’র প্রথম গ্লোবাল সামিটে হাইকমিশনের সহযোগিতার জন্য হাইকমিশনারসহ সব কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে গ্লোবাল সামিট উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় হোটেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে আয়েবা’র সভাপতি প্রকৌশলী ড. জয়নুল আবদীন, মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ, প্রধান উপদেষ্টা আহমেদু সামাদ চৌধুরীসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে আয়েবা মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেড়শ’ প্রবাসী সামিটে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন। আয়েবাকে তারা বৈশ্বিক প্লাটফরমে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রথম গ্লোবাল সামিটের আয়োজন করেছেন। তাদের মূল উদ্দেশ্য প্রবাসীদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অব্যাহত উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে বার্জায়া টাইমস্কয়ার হোটেলে হাইকমিশনার সামিটের উদ্বোধন করবেন।
এতে আয়েবা নেতারাসহ ঢাকা থেকে আসা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা আয়েবার ইউরোপীয় স্বপ্নকে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।